ভলাকুট ইউনিয়ন
ভলাকুট ইউনিয়ন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত।এটি নাসিরনগর উপজেলার পশ্চিমে অবস্থিত। ইউনিয়নের পূর্বে নাসিরনগর উপজেলা সদর,পশ্চিমে চাতলপাড় ইউনিয়ন,এবং দক্ষিণে কুন্ডা ইউনিয়ন অবস্থিত।ভলাকুট ইউনিয়ন এর উওর দিগে গোয়ালনগর ইউনিয়ন।ভলাকুট ইউনিয়ন আয়তন
ভলাকুট ইউনিয়নের মোট আয়তন ৩০.৯১ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ২৮,১১৪ জন। এর মধ্যে ১৩,৪৯৩ জন পুরুষ ছিল এবং ১৪,৬২০ জন মহিলা ছিল। ইউনিয়নে মোট ১০টি গ্রাম রয়েছে।ভলাকুট ইউনিয়ন প্রধান পেশা
ভলাকুট ইউনিয়নের প্রধান পেশা হল কৃষিকাজ। এছাড়াও এখানে কিছু লোক জেলে, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত। ইউনিয়নে কৃষি জমির পরিমাণ ২৭,০০০ একর। এখানে ধান, গম, পাট, আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, ইত্যাদি উৎপাদিত হয়।ভলাকুট ইউনিয়ন স্কুল/উচ্চ বিদ্যালয়/মাদরাসা সংখ্যা
ভলাকুট ইউনিয়নে মোট ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১টি মাদ্রাসা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো:- দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বারইচিড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বালিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- খাগালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কান্দিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভলাকুট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কান্দিসাধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কুটুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বাঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভলাকুট উচ্চ বিদ্যালয়
মাদ্রাসাটি হলো:
- ভলাকুট আলিয়া মাদ্রাসা
ভলাকুট ইউনিয়নের শিক্ষার হার মোটামুটি ভালো। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইউনিয়নের শতকরা শিক্ষার হার ৬৫%।
ভলাকুট ইউনিয়ন যোগাযোগ ব্যাবস্তা
ভলাকুট ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা হল নৌকা এবং সিএনজি। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য নৌকা বা সিএনজি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় কিন্তুু যাতায়াত সুবিধা এখনো সম্পূর্ণ ভাবে রেডি হয়নি,তবে আশা করার যায় অতি শিগগিরই গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে।
ভলাকুট ইউনিয়ন দশনীয় স্তান
ভলাকুট ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হল লংগন নদী, এই লংগন নদী থেকে দেশীয় মাছ সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয় ভলাকুট বাজারে, এবং শ্রী শ্রী মা তারামণি দেবী মন্দির ভলাকুট বাজারে অবস্থিত।
ভলাকুট ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান
ভলাকুট ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন রুবেল মিয়া।রুবেল মিয়া সৎ এবং নিষ্ঠাবান এবং জনদরদী এক জন ব্যাক্তি।মো:রুবেল মিয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী করে বিশাল ভোটে জয় লাভ করেন।এক কথায় বলতে গেলে ভলাকুট ইউনিয়ন হল আওয়ামী লীগে ঘাটি।
ভলাকুট ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য:
ভলাকুট ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহু বছরের পুরনো। ধারণা করা হয় যে, এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে হিন্দুদের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে কালে মুসলিম আগমনে এটি মুসলিমদের অধীনে চলে আসে।ভলাকুট ইউনিয়ন শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে এটি একটি সমৃদ্ধ জনপদ। এখানে অনেক বিদ্বান ও গুণী ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন যা যোগ যোগ চির অমর হয়ে থাকবে।
ভলাকুট ইউনিয়নের বর্তমান অবস্থা:
ভলাকুট ইউনিয়নের বর্তমান অবস্থা মোটামুটি স্তীতিশীল। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করি,
ভলাকুট ইউনিয়ন নামকরণ
ভলাকুট ইউনিয়নের নামকরণ নিয়ে দুটি মন্তব্য রয়েছে। একটি মন্তব্য হল, এই ইউনিয়নে একসময় অনেক বিশিষ্ট ভদ্র লোক বাস করতেন। তাই এই গ্রামটি ভদ্রকোট নামে পরিচিত ছিল। কালক্রমে ভদ্রকোট থেকে ভলাকুট নামকরণ করা হয়।আরেকটি মত হল, এই ইউনিয়নে একসময় অনেক ভূলুণ্ঠিত মাটির পাহাড় ছিল। এই পাহাড়গুলোকে স্থানীয়রা ভলাকুট বলে ডাকত। সেই থেকে এই ইউনিয়নের নাম ভলাকুট হয়।তবে বেশিরভাগ লোকের বিশ্বাস হল, ভদ্রকোট থেকে ভলাকুট নামকরণ করা হয়েছে।ভলাকুট ইউনিয়নের নামের সাথে যেকোনো একটি মতই সত্যি হোক না কেন, এই ইউনিয়নের নামটি বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।
ভলাকুট ইউনিয়ন ওয়াড সংখ্যা
ভলাকুট ইউনিয়নের ওয়াড সংখ্যা ১০টি। ওয়াডগুলো হলো:
- ওয়াড নং ১: দূর্গাপুর
- ওয়াড নং ২: বারইচিড়া
- ওয়াড নং ৩: বালিখোলা
- ওয়াড নং ৪: খাগালিয়া
- ওয়াড নং ৫: ভলাকুট
- ওয়াড নং ৬: কান্দি
- ওয়াড নং ৭: কান্দিপাড়া
- ওয়াড নং ৮: সাধন
- ওয়াড নং ৯: কঠুই
- ওয়াড নং ১০: বাঘী
ওয়ার্ডগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ইউনিয়নের গ্রামগুলোর নামে।
গুড ইনফরমেশন
ReplyDelete